এবার অপরাধীকে আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। এ সময় প্রচন্ড গরমে ওই আসামির পানির পিপাসা পেয়ে বসে। পিপাসায় তার গলা শুকিয়ে যায়। পরে পুলিশের কাছে ঘটনা খুলে বললে পুলিশ তাকে পাশের মদের দোকানে নিয়ে যায়! কোমরে দড়ি পরানো অবস্থায় কয়েদি মদ কিনলেন। ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সতর্ক নজর রাখলেন পুলিশ। ভারতের উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে পুলিশ আসামির ধরি ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আর ওই আসামী দোকান থেকে মদ কিনছে এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল ছবিটি ভাইরাল হয়। এরপরই নড়েচড়ে বসে যোগীরাজ্যের পুলিশ। হামিরপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে যে পুলিশকর্মী বন্দিকে মদের দোকানে নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি জনপদ হামিরপুরের বাসিন্দা। যে এলাকা পড়ে কুরারা থানার মধ্যে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, খাকি উর্দি পরিহিত এক ব্যক্তি একটি মদের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তার ঠিক সামনেই আরও এক ব্যক্তি। তার কোমরে দড়ি পরানো। দড়ির অন্য প্রান্ত পুলিশকর্মীর হাতে ধরা।
সাম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে। গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া আতিক আহমেদকে পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে সাংবাদিকের ছদ্মবেশী তিন দুষ্কৃতী গুলি করে খুন করে। তারপর রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার আবার যোগীরাজ্যের পুলিশ চলে এল খবরের শিরোনামে। সূত্র: আনন্দবাজার